আবু সালেহ মুসা বরগুনা, আমতলী প্রতিনিধি: বরগুনার গর্জনবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশারের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের গর্জনবুনিয়া স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাশার তিন দুই বছর যাবৎ অত্র স্কুল এ্যন্ড কলেজে দায়ীত্বে রয়েছেন।অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের প্রতিযোগীতা ঠিকতে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বিভিন্ন জনকে দিয়ে আসতে হয়েছে। স্কুল প্রধান হিসাবে আসার  আবুল বাশার সাহেব সেই টাকা যে কোন ভাবে উঠানোর জন্য পায়তারা করছে।

স্কুল এন্ড কলেজের আশ্ পাশ্বে স্থানীয় মানুষ ছাত্র গার্ডিয়ান ও ছাত্র ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাশার উপবৃত্তি দেয়ার নামে এক হতে দুই হাজার টাকা করে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে গ্রহন করেন এর যে সকল ছাত্র ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পেয়ে যান তারা নীরবে থাকেন,আর যাদের টাকা গ্রহন করার পরও উপবৃত্তির তালিকায় নাম থাকেনা তাদের সাথে হয় বিপত্তি।

দশম শ্রেনীর বলেন আমার কাছ হতে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নামে আবুল বাশার স্যার ১০০০/- (এক হাজার) টাকা নিয়েছে উপবৃত্তির কথা বলে, ঐ ছাত্রী আরো বলেন স্যারের চরিত্র মোটেও ভাল না সুন্দরী ছাত্রীদের পড়ানোর নামে উত্তপ্ত করে। গত ১৪,০৭,২১ তারিখ আমাদের স্কুলে ডেকে বলেন আমার বিরুদ্ধে কেহ সাক্ষি দিলে তাকে আমার স্কুল থেকে বিদায় করে দিব। তিনি স্কুলের ব্লাক বোর্ডে তার বিরুদ্ধে সাক্ষি না দেয়ার আহবান করেন।

গর্জনবুনিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও নলটোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন জনাব আঃ মন্নান সাহেব বলেন স্কুলটি অনেক ঐতিহ্য ছিল কিন্তু বর্তমান আবুল বাশার সাহেব যোগদান করে অনেক অনৈতকতায় জড়িয়ে পরেছে। ছাত্র ছাত্রীদের কাছ হতে উপবৃত্তির কথা বলে টাকা পয়সা নিচ্ছে। সুমী নামের ১০ ম একটি মেয়ে কে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল আমার নিজের হাতেই এই আবুল বাশার কে অব্যহতি দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন এত খারাপ লোক এই স্কুলে প্রধান হিসাবে জয়েনিং দেয়া ঠিক হয়নি। সাবেক সহকারী শিক্ষক জনাব নজরুল ইসলাম বলেন একজন শিক্ষক এত খারাপ হতে পারনা। তবে আবুল বাশার সাহেব একজন দুশ্চরিত্রের লোক তাকে কোন ভাবেই প্রধান শিক্ষক পদে নেয়া ঠিক হয়নি। এতে আমাদের স্কুলের চারদিক মেধা শুন্য হয়ে পরবে। আমরা উর্ধতনের কাছ আবুল বাশারের বিচারের দাবী করি।

আবু হানিফ মল্লিক বলেন আবুল বাশার মাষ্টার একজন খারাপ চরিত্রের লোক সুন্দরী মেয়েরা তার কাছ থেকে রেহাই পায়না। ছাত্র ছাত্রীদের কাছ হতে উপবৃত্তের নামে টাকা গ্রহন করেছে। করোনা কালীন সময় অনেকের কাছ হতে পাঁচ হাজার করে ফরম পূরনের নামে টাকা গ্রহন করেছেন। সেন্টু শরীফ নামের অন্য একজনে বলেন আমার দুটি সন্তান এই স্কুলে লেখা পড়া করছে ২০০০/- (দুই হাজার) টাকা উপবৃত্তির টাকা দিবে বলে নিয়েছে কিন্তু টাকা দেয়নি। নৈতিক চরিত্রের জন্য তার চাকরী চলে গিয়েছিল এর আগেও দুটি স্কুল হতে চাকরীচুৎ হয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক থাকা কালীন সে সরকারী গাছ বিক্রি করেছেন।বর্তমানে গাছ কাটা মামলা বরগুনার কোর্টে বিচারাধীন আছে। আবুল বাশার মাষ্টার স্কুলের খেলার মাঠ না রেখেই স্কুল ভবন নির্মান করছেন। অত্র এলাকার সকল খেলাধূলার একমাত্র মাঠেই বর্তমানে স্কুলে বিল্ডিং নির্মান হচ্ছে।